আগামী রবিবার (৩০ জুলাই) ইংল্যান্ডের (England) তারকা পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের (James Anderson) জন্মদিন। সেদিন ৪১ পূর্ণ করে ৪২ বছরে পা দেবেন তিনি। সাধারণত পেস বোলারদের কেরিয়ার অনেক আগেই শেষ হয়ে যায়, ৩২-৩৩ কি বড়জোর ৩৫। কিন্তু অ্যান্ডারসন ব্যতিক্রম। সাদা বলের ক্রিকেট থেকে বহুদিন আগে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। শুধুমাত্র টেস্টের প্রতি মনপ্রাণ দেওয়ার ফলে আজ সেই ফর্ম্যাটে পেসার হিসেবে সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

কিন্তু ইদানীং ফর্ম ভালো যাচ্ছে না অ্যান্ডারসনের। চলতি অ্যাশেজ সিরিজে (Ashes Series) পারফর্ম্যান্স খুবই সাদামাঠা। স্বভাবতই জল্পনা উঠেছে তাঁর অবসর নিয়ে। এমনও গুঞ্জন উঠেছে, এই অ্যাশেজ সিরিজের পরেই ক্রিকেটকে গুডবাই জানাবেন আধুনিক যুগের ‘সুলতান অফ সুইং’ (Sultan of Swing)। পঞ্চম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে এই নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।

না, এই মুহূর্তে অবসরের কোনও পরিকল্পনাই নেই অ্যান্ডারসনের। তিনি বলেন, “বোলার হিসেবে আপনি যেই ৩০ পার করবেন, ওমনি লোকজন জানতে চাইবে, আর কতটা দিতে পারবেন। কিন্তু শেষ তিন-চার বছরে আমি সেরা বল করেছি। অনুভব করেছি সবকিছু আমার নিয়ন্ত্রণে, আমার শরীর ঠিক জায়গায় আছে, আমার স্কিলগুলো বরাবরের মতোই কাজ করছে। অবসরের কথা যদি বলতে হয়, খুব তাড়াতাড়ি খেলা ছাড়ছি না আমি। আমার মনে হয় আরও অনেক কিছু দিতে পারব।”


ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মিচেল মার্শকে (Mitchell Marsh) বোল্ড করেছেন অ্যান্ডারসন। ভাগ্য সহায় থাকলে আরও একটা-দুটো উইকেট তাঁর ঝুলিতে থাকত। তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে না যে আমি খারাপ বল করছি কিংবা আমার গতি কমে যাচ্ছে কিংবা আমি খেলা ছাড়ার পথে। দলকে এখনও অনেক কিছু দিতে পারি আমি।”

অ্যান্ডারসন সত্যিই এক বিস্ময়। জোরে বোলারদের কেরিয়ার সাধারণত অল্প হয়, চোট আঘাত তাদের জর্জরিত করে। তাঁর দেশেরই জোফ্রা আর্চার (Jofra Archer) উদাহরণ, আমাদের জসপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) কোথাও বলা যায়। প্রতিশ্রুতিমান একাধিক পেসার শুধু চোটের কারণেই হারিয়ে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে জেমস অ্যান্ডারসন সত্যিই এক বিস্ময়।  

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: