পেঁয়াজের দাম দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। আর ভারতের মতোই অবস্থা পদ্মাপাড়ের দেশের। গত রবিবার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বেড়েছিল। মঙ্গল ও বুধবার ঢাকার শ্যামবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ২৫-৩০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। গতকালও একই দর গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ঢাকার কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সোমবারের চেয়ে অবশ্য কেজিপ্রতি ১০ টাকার মতো কম।
 চাহিদা বেশি। জোগান কম। যার জেরে চড়চড়িয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুরোপুরি রফতানি বন্ধ করেছে ভারত। এই সিদ্ধান্তেই বিপাকে পড়েছে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলি। শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, বাংলাদেশে তড়তড়িয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।
যদিও পেঁয়াজের ঘাটতি ও মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকার। সে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, এখনও জোগান ভাল রয়েছে পেঁয়াজের। প্রয়োজনে মায়ানমার, তুরস্ক, মিশর এবং চিনে পেঁয়াজ রফতানির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রেরই খবর, প্রতি বছর ১৭ থেকে ১৯ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উত্পন্ন করে। এর পরও ঘাটতি থেকে যায়। ভারত-সহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয় বাংলাদেশকে। মোট আমদানির ৭৫ শতাংশ আসে ভারত থেকেই। কিন্তু ভারত সম্পূর্ণভাবে রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার এবার পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখে জল বাংলাদেশিদেরও।


Find out more: