অনেক আগেই অনুভূত হয়েছিল যে তিনটি বাহিনীর সমন্বয়ে একজন ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ নিয়োগ করার প্রয়োজন আছে।পুনরায় যখন আবার ভারত পাকিস্তান সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তখন সেই নতুন পদ তৈরির ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেন ‘‘প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধের নিয়ম বদলাচ্ছে। আমাদের তিন বাহিনীকে এক সঙ্গে এগোতে হবে। পারস্পরিক সমন্বয় জরুরি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ পদ তৈরি করা হবে।’’
প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করবেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ। মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির স্থায়ী সদস্য হবেন তিনি। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়ত এই পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে সরকারি সূত্রের খবর। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ-এর ক্ষমতা, দায়িত্ব, মর্যাদা, পদের মেয়াদ ঠিক করতে প্রতিরক্ষা সচিবকে নিয়ে গঠিত কমিটি নভেম্বরে রিপোর্ট দেবে।
মোদী জমানায় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি বি শেখতকরের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ কমিটিও চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। শেখতকর এদিন বলেন “৪০ বছর আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।” তাঁর মতে, তিন বাহিনীর প্রকৃত সমন্বয় হলে জওয়ানের সংখ্যা কমিয়ে সেই অর্থ বাহিনীর আধুনিকীকরণের কাজে লাগানো যাবে। কার্গিল যুদ্ধের সময়ের সেনাপ্রধান, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ভি পি মালিক মোদীর সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়ে বলেছেন, এতে জাতীয় নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে।
ফৌজি কর্তারা প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel