হায়দ্রাবাদের পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আরও একটি মর্মস্পর্শী গণধর্ষণের বিষয় সামনে এলো ।এই ঘটনাটি ঘটেছে কোয়ম্বত্তুরে। জন্মদিনেই গণধর্ষণের শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রীর বন্ধুকে বেঁধে রেখে তাঁর সামনেই ধর্ষণের অভিযোগ ছ’জনের বিরুদ্ধে। ২৬ নভেম্বর রাতের এই গোটা পর্বের ভিডিয়োও তুলে রাখে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ পেয়ে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
কোয়ম্বত্তূরের আরএস পুরম মহিলা থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ নভেম্বর রাত ৮টা নাগাদ ওই কিশোরীর জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে শহরের ঈশ্বরনগরের একটি পার্কে গিয়েছিলেন। রাত ন’টা নাগাদ তাঁরা যখন বাড়ি ফেরার জন্য বেরোচ্ছিলেন, তখনই ছ’জন তাঁদের পথ আটকায়। কিশোরীর বন্ধুকে পার্কেরই একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধরের পর দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে দুষ্কৃতীরা। তার পর তার সামনেই ওই কিশোরীর উপর চলে উপর্যুপরি ধর্ষণ।
ধর্ষণের পর তাদের ওই পার্কেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে তার আগে তাদের পথ আটকানো থেকে শুরু করে তরুণীর বন্ধুকে মারধর এবং বেঁধে রাখার ভিডিয়ো তুলে রাখে দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনাও ক্যামেরাবন্দি করে।ঘটনার পর নির্যাতিতা তরুণী কোনও রকমে বন্ধুর কাছে পৌঁছন। তার পর কোনওরকমে তরুণী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর বাড়িতে পৌঁছন এবং রাতে সেখানেই ছিলেন। পরের দিন বাড়ি ফিরে মাকে গোটা ঘটনার কথা জানান। তার পর মায়ের সঙ্গে মহিলা থানায় গিয়ে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন। পকসো আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
ইনস্পেক্টর প্রভাদেবীর নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল গঠন করে শুরু হয় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি সীরানাইকেন পালায়ম এলাকা থেকে টি রাহুল (২১), আর প্রকাশ (২২), এস কার্তিকেয়ন (২৮) এবং এস নারায়ণমূর্তি (৩০) নামে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলা মহিলা আদালতে তাদের পেশ করা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং অন্যান্য সূত্রে বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
click and follow Indiaherald WhatsApp channel